স্বদেশ ডেস্ক:
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে মূল বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করেছিলেন চিকিৎসক ও নার্স। বিদেশ থেকে স্বজনরা আসতে পারবে না, তাই শেষ পর্যন্ত বিয়ের তারিখ এগিয়ে আনেন তারা। পরে যে হাসপাতালে কাজ করেন সেখানেই বিয়ের কাজটি সেরে ফেলেন এই যুগল। আর তাদের এই বিয়ের অনুষ্ঠান লাইভ-স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়, যাতে স্বজনরা অংশ নেন বাড়িতে থেকেই।
চিকিৎসক ও নার্স দুজনই সাউথ লন্ডনের তুলসি হিল এলাকার বাসিন্দা। চিকিৎসকের নাম আন্নালান নাভারাতনাম (৩০) ও তার নার্স স্ত্রী হলেন- জান টিপিং (৩৪)। লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালের গ্রেড টু তালিকাভুক্ত একটি চ্যাপেলে বিয়ে করেন তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিপিং ও নাভারাতনাম তাদের আসল বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করেছিলেন। আগামী অগাস্টে তাদের ওই মূল বিয়ের পরিকল্পনা ছিল। তারা ভেবেছিলেন যে, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড আর শ্রীলঙ্কা থেকে তাদের স্বজনরা হয়তো আসতে পারবেন না। এর পরিবর্তে বিয়ের অনুষ্ঠান এগিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এখনো পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকার কারণে বিয়ের এই সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন এই দম্পতি।
বিয়ে প্রসঙ্গে জরুরি সেবা বিভাগের নার্স টিপিং বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্ত নেই, কারণ আমরা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যাতে সবাই আনন্দ করতে পারে। সবাই এখনো সুস্থ, যদিও আমাদের স্বজনরা আমাদেরকে স্ক্রিনেই দেখছে।’
গত ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত তাদের বিয়েকে ‘অন্তরঙ্গ’ ও ‘চমৎকার’ বলে উল্লেখ করেছেন এই দম্পতি। দুজনেই যে জায়গাটাতে কাজ করেন সেখানে বিয়ে করাটা ‘অদ্ভুত’ মনে হচ্ছে বলে জানান তারা।
নাভারাতনাম চিকিৎসক হিসেবে সেন্ট থমাস হাসপাতালে এক বছর ধরে কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘খুবই খুশি, কারণ আমরা একে অপরের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে পেরেছি।’
বিয়ের অনুষ্ঠানে নবদম্পতির জন্য ভার্চুয়াল অভ্যর্থনা, নাচ এবং বক্তব্যের ব্যবস্থা করা হয়। রেভারেন্ড মিয়া হিলবর্ন, যিনি বিয়ের পুরো বিষয়টি পরিচালনা করেছেন তিনি বলেন, ‘এই আয়োজনের অংশ হতে পেরে তিনি শিহরিত।’
এদিকে, বিয়ের খবর শোনার পর ‘এটা চমৎকার’ বলে এক টুইটে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক।